গবেষকরা জানিয়েছেন, মানবদেহে ট্রায়ালের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের রক্তের নমুনায় দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটি অ্যান্টিবডি ও টি-সেল উৎপাদন করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়েছে। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন মানবদেহে অ্যান্টিবডি ও টি-সেল উভয়ই তৈরি করে যা যুগ্মভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।
এর আগে কয়েকটি গবেষণায় জানা যায়, করোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি কয়েক মাসের মধ্যে অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। তবে টি-সেল রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কয়েক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে,
এই ফল চরম আশাব্যঞ্জক। যদিও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষার বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি।
গবেষকদের একজন জানান,
আমি বলতে পারি অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে উভয় ভিত্তিই তৈরি হয়, এটি টি-সেল ও অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই সমন্বয় মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলে,
এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো। এটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কিন্তু আমাদের এখনও অনেক দূর যেতে হবে।
ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার কার্যনির্বাহী প্রধান প্যাসকাল সরিওট বলেন,
এ প্রতিষেধক এক বছর পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
তবে অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ ড. সারা গিলবার্টের দাবি,
তাদের তৈরি করোনার প্রতিষেধক আরও বেশি সময় ধরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম।
বার্কশায়ার রিসার্চ এথিকস কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড কার্পেন্টার এই ভ্যাকসিনের বিষয়ে বলেন,
ভ্যাকসিন তৈরির গবেষকরা সঠিক পথেই আছেন। তবে কেউই চূড়ান্ত দিনের কথা বলতে পারে না। এখনও তা চূড়ান্ত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো বড় ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার ফলে ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বরে পাওয়া যেতে পারে। সবাই এই লক্ষ্যে কাজ করছেন।
কার্পেন্টার আরও জানান,
যদি ভ্যাকসিন কার্যকরী হয় তাহলে সবার আগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা প্রবীণ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে।
(দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ ও স্কাই নিউজ অনুসারে)