আগামী ১০ জুলাই ৭৬ তম বছরে পদার্পণ করছে দেশের গৌরবময় চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই ১০১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। আর আগামী ১০ জুলাই ফিরে আসছে আরেকটি ডিএমসি ডে। করোনাকালীন সময়ে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আর এই করোনার সময়তো দেশের সকল চিকিৎসকরা সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধু তাই নয়, এই করোনায় আমরা হারিয়েছি অনেক চিকিৎসক, ছাত্র-ছাত্রী এবং অনেকেই হারিয়েছেন তার প্রিয়জন। এমন কোন শব্দ বাক্য নেই যার মাধ্যমে করোনায় চলে যাওয়া মানুষ গুলোর প্রতি আমরা পরিপূর্ন ভাবে শোক জানাতে পারি। তবে প্রত্যেকের রুহের মাগফিরাত কামনা করি আমরা।
এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিবছর ১০ জুলাই এলে আমরা কিছুটা নস্টালজিক হয়ে যাই। দেশ বিদেশে অনেক চিকিৎসক আছেন তারা জানতে চান এ বছর কোন অনুষ্ঠান হচ্ছে কিনা ?
কিন্তু বাস্তবতা হল করোনাকালীন সময়ে কোন ভাবেই এমন কোন কর্মসূচী নেয়া যাবেনা, যা করোনা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই গত বছরের মতো আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে এই বছরও সীমিত পরিসরে দিনটি উদযাপন করতে চাই । তবে বেশ কিছু কর্মসূচী গ্রহণ করেছি আমরা, যা করোনাকালীন সময়ে করনীয় ছিল। যেমন সন্মুখ যোদ্ধাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ , চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ ইত্যাদি। আর এতে পাশে থাকার জন্য দেশ বিদেশের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমরা।
এ বছরও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং অ্যালামনি ট্রাস্টের পতাকা উত্তোলন করবো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। হবে দেশে বিদেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের স্মৃতিচারনমূলক অনুষ্ঠান ।
আমাদের প্রিয় এ প্রতিষ্ঠান কেবল ঐতিহ্যের স্মৃতিচারণ নয়, নব নব অর্জনে সমৃদ্ধির শিখরে যাবার জন্য, মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ লালন এবং পালন করার জন্য। আমরা ভুলতে চাইনা আমাদের দহনকাল, তেমনি মনে করিয়ে দিতে চাই আমাদের গৌরব আর অহংকার। আমরা সবসময় এমন কিছু করতে চাই যা মানবিক যোদ্ধা হিসেবে, করোনা যোদ্ধা হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনি ট্রাষ্ট এর মহাসচিব হিসেবে আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। এই মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে হাজার হাজার চিকিৎসক আলো ছড়াচ্ছেন দেশ বিদেশে। আর এই করোনাকালীন দু:সময়ে কোভিড-১৯ ফাইটারদের জানাই আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা। বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং অ্যালামনিবৃন্দের অবদান অপরিসীম। জনগনের স্বাস্থ্যসেবা, দেশের চিকিৎসা পেশার মানোন্নয়ন এবং দেশের যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
শুধু তাই নয়,’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-র ৬-দফা, ’৭১ র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-র গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনসহ ইতিহাসের প্রতিটি সন্ধিক্ষণে এ কলেজের চিকিৎসক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বীরোচিত ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার সাথে সাথে জনগণের স্বাধিকার আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে এই বিদ্যাপীঠের ভূমিকা ইতিহাসের গৌরবময় অংশ হয়ে আছে। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনের এই প্রতিষ্ঠানটি ছিল সামনের সারিতে।
আমাদের স্বাধীনতার সূর্যটি ডাঃ ফজলে রাব্বী, ডাঃ আলীম চৌধুরীর মত অসংখ্য চিকিৎসকের আত্মদানে হয়েছে উজ্জ্বলতর। নব্বই’র স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনও এই মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও রাজপথের সহযোদ্ধা ডাঃ শামসুল আলম খান মিলনের রক্তে পেয়েছিল নতুন মাত্রা। এই দেশের গণ মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে রয়েছে আমাদের সাহসী উত্তরাধিকার। মাতৃভাষার জন্য যাঁরা বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত করেছিল রাজপথ, যাঁদের হাত ধরে উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার রক্তিম লাল সূর্য, যাঁরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রকে পুণরুদ্ধার করেছেন, সে সকল আত্মত্যাগী বীর শহীদ চিকিৎসকবৃন্দকে শ্রদ্ধা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ তার সংগ্রামী ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বজায় রেখেছে এই দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের দুয়ার থেকে কোন রোগীকে বিনাচিকিৎসায় ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত নেই । করোনা যুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সন্তানরা এগিয়ে এসেছে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে, তাঁদের আত্মত্যাগের এই ঋণ চিরস্মরণীয়। ১০ জুলাই ডিএম সি ডে কে আমরা এবার পালন করবো মানুষের সহযোগিতায়, সহমর্মিতায় এবং মানবিকতায়।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাম । বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বোপিত হয়েছিল ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজের আমতলায়। সেদিনের সেই ক্ষুব্ধ তারুণ্য জন্ম দেয় এক নতুন জাতীয়তাবাদী চেতনার। যার পথ ধরে চূড়ান্ত বিজয় আসে ১৯৭১-এ। শুধু ভাষা আন্দোলন নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এমন একটি প্রতিষ্ঠান, বাঙ্গালির স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি পদক্ষেপে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশেও এর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আজ পর্যন্ত কোন রাষ্ট্রীয় পদক বা পুরস্কার পায়নি।
ভাষা আন্দোলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
১৯৪৮ সালের মার্চে রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন “উর্দু, শুধু উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা”। তবে ছাত্ররা এই ঘোষণা মেনে না নেয়ায় পরে পাকিস্তানি বাহিনী একুশে ফেব্রুয়ারি সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঐতিহাসিক আমতলায় (বর্তমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে, যেখানে নতুন অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে) প্রতিবাদী ছাত্রদের সভার পর ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল শুরু হয়। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও গ্রেপ্তারের ফলে শান্তিপূর্ণ মিছিল কিছুক্ষণের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুরের পর পুলিশ গুলিবর্ষণ শুরু করে। ফলে ব্যারাক চত্বর ও তার আশপাশে গুলির আঘাতে শহীদ হন রফিক, বরকত ও জব্বার।
ইতোমধ্যে পুলিশের গুলিবর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতাল ও ব্যারাক চত্বরে মানুষের ঢল নামে। একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে তখনকার ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ব্যারাকে অবস্থানরত ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ করে কন্ট্রোল রুম স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এই কন্ট্রোল রুম স্থাপন মেডিকেল কলেজের তৎকালীন ছাত্রদের একটি বুদ্ধিদীপ্ত সাহসী সিদ্ধান্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে এই কন্ট্রোল রুমেই রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের জনতার সংহতি প্রকাশের একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। তাছাড়া কন্ট্রোল রুমের মাইক থেকেই নেতারা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ , রোববার, সরকারি ছুটির দিন। নবনির্মিত শহীদ মিনারটি প্রথমে উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের পিতা। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শুনতে পান স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং দলে দলে লোকের তা দর্শন ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার দেওয়ার কথা। শহীদ মিনার আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। ছাত্র-জনতার মধ্যে প্রতিবাদী চেতনার নতুন উদ্ভাস তৈরি করে।
মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসক, তৎকালীন ছাত্র, কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। এদের অনেকেই অস্ত্র হাতে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা ও অসহায় বাঙালিদের চিকিৎসা করেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধে কলেজের তৎকালীন ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন, সেলিম আহমেদ, আলী হাফিজ সেলিম, আবু ইউসুফ মিয়া, ইকবাল আহমেদ ফারুক, মুজিবুল হক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোজাফফর, আমজাদ হোসেন, ওয়ালীত, ওসমান, গোলাম কবীর, জিলর রহিম, ডালু নুরুজ্জামান, শাহাদত প্রমুখ । এদের অনেকেই ঢাকা শহর কমান্ডের তত্ত্বাবধানে থেকে যুদ্ধ করেছিলেন।
তৎকালীন সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের সদস্যদের মধ্যে স্কোয়াড়্রন লিডার এম শামসুল হক, মেজর খরশীদ, মেজর শামসুল আলম, ক্যাপ্টেন আব্দুল লতিফ মল্লিক, ক্যাপ্টেন মোশায়েফ হোসেন, ক্যাপ্টেন আ. মান্নান, লে. আখতার, লে. নুরুল ইসলাম প্রমুখ অফিসার বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োজিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ক্যাপ্টেন রশিদ বীরউত্তম ও লে. আখতার বীরপ্রতীক উপাধি পেয়েছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের যেসব সদস্য শহীদ হয়েছেন তাদের মধ্যে ডা. লে. কর্নেল এএফ জিয়াউর রহমান, ডা. মেজর আসাদুল হক, ডা. লে. আমিনুল হক, ডা. লে. খন্দকার আবু জাফর মো. নুরুল ইমাম প্রমুখ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত প্রায় সব চিকিৎসকই আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা আসল নাম গোপন রেখে হাসপাতালে ভর্তি হতেন। হাসপাতালে এসব কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন অধ্যাপক ফজলে রাব্বী। তিনি তাঁর আয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন। শহীদ অধ্যাপক আলীম চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত থাকলেও বেশিরভাগ সময় কাটাতেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করা অনেক চিকিৎসক ভারতে গিয়ে বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই সব চিকিৎসকের অনেকে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। আবার কেউ আহত মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের চিকিৎসা করেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাসকৃত চিকিৎসকদের মধ্যে যারা মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা হলেন- শিশির মজুমদার, ডা. সরওয়ার আলী, অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ডা. মাকসুদা নার্গিস, ডা. কাজী তামান্না, ডা. ফোজিয়া মোসলেম, ডা. সমূর কুমার শর্মা প্রমুখ (অনেকের নাম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি)। দেশের ভেতর থেকে অসংখ্য চিকিৎসক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ
নব্বই’র স্বৈরাচারবিরোধী গণ আন্দোলনও এই মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ও রাজপথের সহযোদ্ধা ডাঃ শামসুল আলম খান মিলনের রক্তে পেয়েছিল নতুন মাত্রা। এ দেশের গণ মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলনে রয়েছে আমাদের সাহসী উত্তরাধিকার। চিকিৎসা বিজ্ঞানে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের চিকিৎসা সেবায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
অথচ মেলেনি স্বীকৃতি
দু:খজনক হলেও সত্য যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এখনো পর্যন্ত কোন জাতীয় স্বীকৃতি পায়নি। ২০২১ সালে “ চিকিৎসা” খাতে “ঢাকা মেডিকেল কলেজ” কে “স্বাধীনতা পদক” দেবার জন্য আবেদন করে ও আশাহত হয়েছি আমরা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বললে যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাদ দেয়া যাবে না, তেমনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নামটিও অবশ্য-স্মরণীয়। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজকে স্বাধীনতা পুরস্কার অথবা একুশে পদক দেবার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
৭৬ তম ডিএমসি ডে সফল হোক।
লেখকঃ অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান মহাসচিব, ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই ট্রাস্ট
৫ thoughts on “একটি স্বপ্ন, আবেগ আর ইতিহাসের নাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ”
Original Cialis Deutschland
https://buyneurontine.com/ – gabapentin half life
Propecia Enlarged Prostate
https://prednisonebuyon.com/ – buy prednisone in nebulizer for pneumonia
Neurontine