করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে জড়িত ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য চুরি করার চেষ্টা করছে রাশিয়ার গোয়েন্দারা। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) বলছে, হ্যাকাররা প্রায় নিশ্চিতভাবে রুশ গোয়েন্দা সংস্থার অংশ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে এবং কোনও তথ্য চুরি হয়েছে কিনা তা জানায়নি এনসিএসসি। তবে রাশিয়া তথ্য চুরির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হ্যাকাররা ঝুঁকিপূর্ণ কম্পিউটার সিস্টেমের অ্যাক্সেস পেতে সফ্টওয়্যার ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়েছে এবং ‘ওয়েলমেস (WellMess )’ ও ‘ওয়েলমেইল (WellMail)’ নামের দুটি ম্যালওয়ার ব্যবহার করেছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার বলছে, ২০২০ সাল জুড়েই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সংস্থাগুলোকে টার্গেট করেছে এপিটি২৯। যদিও বলা হয়েছে, হ্যাকারদের হামলায় ভ্যাকসিন গবেষণা ব্যাহত হয়নি।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় যারা চেষ্টা করছে তাদের রুশ গোয়েন্দা সংস্থা লক্ষ্য করে সাইবার হামলা চালাচ্ছে, এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) বলেছে, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট ‘কজি বেয়ার’ নামে পরিচিতি পাওয়া এপিটি২৯ হ্যাকার গ্রুপ মহামারীর সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশানা করে টিকা গবেষণার গোয়েন্দা তথ্য চুরির চেষ্টা করছে।
তবে যুক্তরাজ্যের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, গ্রেট ব্রিটেনের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ও গবেষণা কেন্দ্রে কারা হ্যাক করার চেষ্টা করতে পারে সেই বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। আমরা শুধু একটি কথা বলতে পারি, এসব প্রচেষ্টার সঙ্গে রাশিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
রাশিয়ার সরকার সংশ্লিষ্ট ‘কজি বেয়ার’ দুর্ধর্ষ একটি হ্যাকার গ্রুপ। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির তথ্য হ্যাকিংয়ের ঘটনায় রুশ হ্যাকার গ্রুপ ‘ফ্যান্সি বেয়ার’ এর পাশাপাশি কজি বেয়ারের নামও এসেছিলো।