গত বছর দেশে ফিরেছেন ৩৯ হাজার নারী গৃহকর্মী।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে দেশে ফিরেন এই নারী গৃহকর্মীরা।
বাংলাদেশের অভিবাসনের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে অনেক নারী গৃহকর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। ফলে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখছে নারী কর্মীরা। তবে করোনায় পুরুষের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে কাজ করা নারী গৃহকর্মীরাও চাকরি হারিয়েছেন। ফলে গত বছর পুরুষের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে করোনায় চাকরি হারানোসহ নানা কারণে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীরা। দেশে ফেরাদের বেশিরভাগ মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি প্রকৃতি ২০২০ সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে অভিবাসন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা রামরু’র সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৯,২৭৪ জন নারী কর্মী দেশে ফিরেছেন। এ সময় সবচেয়ে বেশি এসেছেন সৌদি আরব থেকে, ১৭,৩১৬ জন।
রামরুর প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছেন ৮,৩৯৭ জন। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কাতার থেকে ফিরেছেন ৩,৬১৪ জন নারী কর্মী। ওমান থেকে ফিরেছেন ২,৫১৬ জন। ফলে, গত ৫ মাসে নারী কর্মীদের ফিরে আসার হার কম থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নারী কমীর্দের ফিরে আসা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।
অপরদিকে, রামরুর প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ১৮,৮১৩ জন নারী কর্মী বিদেশ গেছেন। যেখানে, ২০১৯ সালে নারী অভিবাসনের সংখ্যা ছিল ১,০৪,৭৮৬ জন। গত এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোন অভিবাসন হয়নি আর অক্টোবর থেকে সীমিত পরিসরে অভিবাসন শুরু হলেও কতজন নারী কর্মী বিদেশ গেছেন তা জানা যায়নি।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার দেশে ফেরা কর্মীদের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ বরাদ্দ করেছে বলে জানায়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে দেশে আসা প্রবাসীরা অল্প সুদে ঋণ নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন।