এ যেন সেমিফাইনাল নয় বরং পাড়ার মাঠের বাজিতে ধরা খেলা। ট্রেবল জেতা এক ক্লাব, যেখানে রোনালদিনহো, জাভি, ইনিয়েস্তার মত প্লেয়ারদের আনাগোনা ছিল, সেই ক্লাব কিনা এভাবে ছিটকে পড়লো মাঠের বাইরে? পুরনো প্লেয়ারদের কথা নাহয় বাদই দেওয়া গেলো, কিন্তু সেরাদের সেরার তর্কে এগিয়ে থাকা লিওনেল মেসির ক্লাব গুনে গুনে ৮ গোল কিভাবে নিজেদের জালে জড়াতে পারে তা ভাবতেও একদিন হয়তো সময় লাগবে সমর্থকদের। তবে আবেগ যাই বলুক না কেন, বাস্তবতার টনক কিন্তু ঠিকই নড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
লিসবনে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে কাতালানদের ৮–২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেছে বায়ার্ন। এমনকী মেসিদের করা সেই ২ গোলের একটিও বায়ার্নের আত্মঘাতি গোল। সেই হিসাবে স্টেডিয়ামের গোলবারে ঢোকা ১০ টি গোলের ৯টিই করেছে বায়ার্ন।

সেই ৭৪ বছর আগে সর্বশেষ ‘দুই হালি’ গোল খেয়েছিল কাতালানরা। ১৯৪৬ সালের কোপা ডেল রেতে সেভিয়ার কাছে ৮–০ গোলে হেরেছিল ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা।
চোটের কারণে স্পেনে রেখে আসা ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতির করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগেই। এরপর পুরো ৯০ মিনিট জুড়ে শুধু গোল আর গোলের চাপেই ছিল বার্সা।

খেলা শুরুর ৪ মিনিটের মধ্যেই স্কোরবোর্ডের ১-০ ব্যবধান নিশ্চিত করে টমাস মুলার। এর ৩ মিনিট পর ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলে বার্সা-বায়ার্নের খেলায় ফেরে সমতা।
খেলার ১০ মিনিটে মেসির ক্রস সাইড পোস্টে লেগে মিস হয়ে যায়। এরপর মেসি একা নয়, পুরো দল মিলেও আর টেনে তুলতে পারেনি বার্সেলোনাকে।
খেলার ২২ মিনিট থেকে ৩১ মিনিট পর্যন্ত মাত্র ৯ মিনিটে খেলার ব্যবধান ৪-১ এ নিয়ে যায় জার্মান এই ক্লাবটি। ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে ইভান পেরিসিচ, ২৮ মিনিটে আরেকটি গোল করে সার্জ নাবরি এবং ৩১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল উদযাপন করেন মুলার।
প্রথমার্ধ্ব ৪-১ এই সমাপ্ত হয়। এসময় বার্সা সমর্থকদের মনে পিএসজির সাথে ঐতিহাসিক কামব্যাকের কথা চলে আসলেও আসতে পারে। কিন্তু কোথায় আশা আর কোথায় বাস্তবতা!
৫৭ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের পায়ে আসে এফসি বার্সেলোনার পক্ষ থেকে একটি গোল। এরপর বায়ার্নকে আর থামানো যায়নি। ৬৩ মিনিটে জশুয়া কিমিখের গোলে স্কোর দাঁড়ায় ৫-২ এ। এই গোলেই লিওনেল মেসি তার বার্সেলোনায় থাকাকালীন সর্বোচ্চ গোল খাওয়ার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন।
জার্মান এই ক্লাবের রবার্ট লেভানডফস্কি ও ফিলিপে কুতিনহো করেন আরও ২টি গোল। এতে ৭–২ গোলে ব্রাজিল-জার্মানির বিশ্বকাপ সেমিফাইনালকে ক্লাবের খেলায় ফিরিয়ে আনে বায়ার্ন। ইউরোপিয়ান ফুটবল ইতিহাসে বার্সেলোনার জালে এই প্রথম ৭ গোল। এরপরের চার মিনিটে কুতিনহোর আরেকটি গোলে বায়ার্ন এর স্কোর দাঁড়ায় ৮-২ এ। বার্সেলোনার সাবেক খেলোয়াড় কুতিনহোর গোলেই কফিনের শেষ পেরেক ঠুকে সেমিফাইনালে উঠে যায় বায়ার্ন মিউনিখ।
ইউসিএল এর সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি অথবা লিওঁর বিপক্ষে মাঠে নামবে বায়ার্ন।
৬ thoughts on “‘দুই হালি’ গোলে বার্সেলোনাকে হারিয়ে সেমিতে বায়ার্ন!”
http://buyplaquenilcv.com/ – hydroxychloroquine 200 mg for sale
Neurontine
http://buyneurontine.com/ – neurontin dosage
https://prednisonebuyon.com/ – oral steroid
cialis otc thailand
levitra not covered insurance