দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম কোন ব্যাক্তি,, যিনি দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত হওয়ার কলঙ্ক নিয়ে ক্ষমতা শেষ করতে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয়কে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালান ট্রাম্প সমর্থকরা। ওই দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাকে অভিশংসনের মধ্যে পড়তে হয়েছে।
গতকাল বুধবার ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা। যাতে তার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদেরও ভোট দিয়েছেন। ভোটের পর ডেমোক্র্যাটিক স্পিকার ন্যানসি পেলোসি বলেন, আজ দুই দলের সমর্থনে এই ভোটে এটিই প্রমাণিত— কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও নয়।
আগামী ২০ জানুয়ারির আগে সিনেটে তার বিচার অনুষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ নেই। ডেমোক্র্যাটদলীয় জো বাইডেন এদিনই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বলে তিনি জানান। ফলে, ট্রাম্পকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অপমানজনকভাবে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে না। তবে পরবর্তী সময় তাকে সিনেটের বিচারের মুখে পড়তে হবে। এতে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি নিষিদ্ধ হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর চাক শুমার বলেন, মার্কিন ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত হওয়ার কলঙ্ক বহন করছেন। কাজেই সিনেটেও তার বিচার হওয়া প্রয়োজন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আনা এই প্রস্তাবে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিরও সমর্থন মেলে। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনিসহ ১০ জন রিপাবলিকান নেতা ভোট দেন ডেমোক্র্যাটদের আনা এ প্রস্তাবে। যেখানে, ৪৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটি ২৩২-১৯৭ ভোটে পাস হয়। সহিংস বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার জন্য দায়ী করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি পাস হয় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানায়।
ট্রাম্পের সমালোচক রিপাবলিকানদলীয় সদস্য অ্যাডাম কিনজিংগার বলেন, আমার মন আজ খুবই শান্ত। এ কারণে যে, আমি সঠিক জায়গায় ভোটটি দিতে পেরেছি। ইতিহাস ঠিক এভাবেই মূল্যায়ন করবে বলে আমি মনে করছি। এদিকে, জো বাইডেনের শপথ গ্রহণকে সামনে রেখে ওয়াশিংটন ডিসিতে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে প্রশাসন। রাজধানী জুড়ে চলছে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থা।