নতুন নিয়মে বাংলাদেশ থেকে আবার কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। এ লক্ষ্যে ‘শিগগিরই’ দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করার বিষয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমওইউ স্বাক্ষরের পরপরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণ, কৃষি, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সেবা, খনি, খনি অনুসন্ধান, নির্মাণ ও গৃহকর্মী সহ সব খাতেই বিদেশি শ্রমিক নেওয়া হবে। এর আগে গত অক্টোবরে শুধু বৃক্ষরোপণ খাতে বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ২২ অক্টোবর আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া সরকার।
মালয়েশিয়ায় গ্লাভস থেকে শুরু করে আইফোন পর্যন্ত সবকিছু তৈরিতে বিদেশি শ্রমিকেরা কাজ করেন। দেশটিতে প্রায় ২০ লাখ বৈধ বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের বেশ কয়েক লাখ মানুষ রয়েছেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দুই বছর ধরে বিদেশিকর্মীদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া। যদিও বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। চলতি মাসেই দু’দেশের মধ্যে কর্মী-সংক্রান্ত এমওইউ স্বাক্ষর হওয়ার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় আর কোনো বাধা থাকবে না।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিদেশি শ্রমিকদের নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিবিধান কী হবে, তা ঠিক করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করবে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে শ্রমিকদের মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টিনে থাকায় ছাড় না দেওয়ার মতো বিষয়গুলো থাকতে পারে বলে জানা গেছে।