করোনা মহামারী ঠেকাতে চীনের উদ্ভাবিত এক ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে ব্রাজিলে। ব্রাজিলের স্বেচ্ছাসেবকরা এ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন বলেও জানা গেছে।
চীনের বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাত বায়োটেক উদ্ভাবিত এ ভ্যাকসিন বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন। ইতিমধ্যে এই ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রবেশ করা বিশ্বের তৃতীয় প্রতিষ্ঠান।
ব্রাজিলের ছয়টি রাজ্যের প্রায় ৯ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী করোনাভ্যাক নামে পরিচিত এ ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। জানা গেছে, আগামী তিন মাসে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
ব্রাজিলের সাও পাওলো ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ গ্রহণ করা ২৭ বছর বয়সী চিকিৎসক বলেন,
‘আমরা একটি নজিরবিহীন ও ঐতিহাসিক সময়ের মধ্যে জীবনযাপন করছি। এ কারণে আমি এ ট্রায়ালের অংশ হতে চেয়েছি।’ তার নাম গোপন রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর জোয়াও ডোরিয়া বলেন,
৯০ দিনের মধ্যে এর প্রাথমিক ফলাফল পাওয়া যাবে। এই ট্রায়ালে ব্রাজিলের জনস্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্র বুটানটান ইনস্টিটিউটের অংশীদার হচ্ছে সিনোভ্যাক।
ভ্যাকসিনের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা জানান,
এই ট্রায়ালে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণ হলে চুক্তির আওতায় এ প্রতিষ্ঠান ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের অধিকার পাবে।
উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত দ্বিতীয় দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে মৃতের মোট সংখ্যা ৮০ হাজার এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখের অধিক।