সারাবিশ্বে মোবাইল থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক বেশিরভাগ যন্ত্র্যাদিতে ব্যবহার করা হয় লিথিয়াম এর ব্যাটারি। এই খনিজ পদার্থকে ‘সাদা স্বর্ণ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। এই লিথিয়ামের মজুদ পুরো বিশ্বে অন্যান্য ধাতব পদার্থের তুলনায় অনেক কম। বিশ্বের মোট লিথিয়াম মজুদের প্রায় ৫০ ভাগই রয়েছে বলিভিয়ার আন্দিজ পর্বতমালার ওপরে। তবে এবার লিথিয়াম আবিষ্কারে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করলো গবেষকরা।
থার্মাল ওয়াটার থেকে লিথিয়াম আবিষ্কার করেছে জার্মানি। সম্প্রতি থার্মাল ওয়াটার থেকে লিথিয়াম আহরণের উপায় উদ্ভাবন করেছেন জার্মানির কার্ল্সিগফ্রুহে ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (কেটিটি) বিজ্ঞানীরা। থার্মাল ওয়াটার মূলত মাটির গভীরে থাকা পানিকেই বুঝানো হয়। এই পানিতে মিনারেল লবণ, আয়োডিন ছাড়াও কার্বন ডাই অক্সাইডও মিশে থাকে।
দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের ওবারাইনগ্রাবেনের (আপার রাইন রিফ্ট ভ্যালির) মাটির গভীর থেকে থার্মাল ওয়াটার তুলে তা থেকে বের করা হয়েছে লিথিয়াম।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে কেটিটি জানিয়েছে,
‘‘আমরা প্রতি লিটার (থার্মাল ওয়াটার) থেকে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লিথিয়াম বের করতে পেরেছি।”
কেটিটির গবেষক ইয়েন্স গ্রিমার মনে করেন,
মাটির নিজে যে পরিমাণ লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার পুরোটা উত্তোলন করা হলে তা দিয়ে জার্মানির চাহিদার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হবে।
তবে থার্মাল ওয়াটার থেকে সাদা স্বর্ণ আলাদা করাই নয়, বরং মাটির নীচ থেকে লিথিয়াম উত্তোলনের সহজ একটা প্রযুক্তিও উদ্ভাবন করেছেন ইয়েন্স গ্রিমার ও তার সহকর্মী ফ্লোরেন্সিয়া সারাভিয়া। এই পুরো প্রযুক্তিকে গ্রিমার-সারাভিয়া নামে নামকরণও করা হয়েছে। গবেষকদের ধারণা এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো গেলে লিথিয়াম অনেকটাই সহজলভ্য হয়ে উঠবে।