বর্তমানে বিদেশগামী প্রত্যেক যাত্রীর করোনা ‘নেগেটিভ’ সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক। তবে এবার সেই সিদ্ধান্ত আংশিক পরিবর্তন করেছে সরকার। যেসব দেশে প্রবেশের জন্য করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রয়োজন শুধু তখনি এই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন,
‘বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য বর্তমানে করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক আছে। এই ব্যবস্থায় আংশিক সংশোধন করে যেসব দেশ যাত্রীদের জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ চাইবে, কেবল সেসব দেশের যাত্রীদের জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক হবে। তবে বিমানবন্দরে বিদেশগামী সব যাত্রীর সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদার করতে হবে। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
তিনি আরও বলেন,
‘‘বিদেশগামী কর্মীদের করোনা পরীক্ষার জন্য সরকার অনুমোদিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে প্রাপ্ত ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই)’-সমূহ থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে উপযুক্ততা যাচাই করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদান করার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’’
এই সভাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরও জানান,
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে সিলেট ও চট্টগ্রামে বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ল্যাব প্রতিষ্ঠা এবং বিদেশ ফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান।