করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ ঠেকাতে বাংলাদেশসহ আরও ১৬ টি দেশের সাথে ইতালির সকল ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা আবারও বাড়াতে যাচ্ছে ইতালি সরকার। দেশের অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে পুনরায় লকডাউন দিচ্ছে না দেশটি।
রবিবার দেশটির স্বনামধন্য পত্রিকা ‘কোররিয়েরা পুন্ত ইট’ এমন খবর প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশসহ মোট ১৬ দেশের জন্য ফ্লাইট ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ ১৫ অক্টোবর পর্যন্তই বহাল রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সাথে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয় ইতালি সরকার। পরে পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে একটি দেশ কমিয়ে বাংলাদেশসহ মোট ১৬ টি দেশের সাথে ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা ১০ আগস্ট থেকে বাড়িয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। চলমান নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করতে যাচ্ছে ইতালি সরকার। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে এখনো কোন ঘোষণা আসেনি।
চলতি মাসের শেষদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলি হচ্ছে-আরমানিয়া, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, বসনিয়া, চিলি, কুয়েত, উত্তর মাচেদোনিয়া, মলদোভা, ওমান, পানামা, পেরু, রিপাবলিক ডোমেনিকান, কসভো, মন্তেনেগ্রো ও সার্বিয়া।
এভাবে বারবার ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশে আটকে পড়া ইতালি প্রবাসীরা। এতে অনেকেই সময়মত কর্মস্থলে যোগ দিতে না পারায় চাকরি হারাচ্ছেন। এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী দেশে আটকে থাকায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে হুমকির মুখে।
সরকারি হিসেবে রবিবার দেশটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১২৯৭ জন। এরমধ্যে রবিবার সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে করোনার সাবেক হটস্পট লোম্বারদিয়ায় ১৯৮ জন। আর ভেনেতোতে শনাক্ত হয়েছে ১৭৯ জন। আর সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে মলিসে বিভাগে, মাত্র দুইজন। এছাড়াও গত চব্বিশ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। তবে রবিবার সারা দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪০৫ জন। এনিয়ে দেশটিতে সর্বমোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ১৫ জন করোনা রোগী। তবে এখনো এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩২ হাজার ৭৮ জন। যারমধ্যে ১৩৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।