শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

সবশেষ

ভারতে দু’দিন ধরে টানেলে আটকা ৮ শ্রমিক, উদ্ধারে ধীরগতি

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে একটি টানেল ধসে আট শ্রমিক আটকা পড়েছেন। দুর্ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও তাদের এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি সংকটজনক বলে জানিয়েছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত ক্ষীণ’।

জানা যায়, গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাগারকুরনুলে অবস্থিত টানেলের একটি লিক মেরামতের সময় ধসের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত শ্রমিকদের বেশিরভাগ বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আটজন আটকা পড়েন। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কৃষ্ণা রাও জানিয়েছেন, আটক পড়াদের মধ্যে চারজন শ্রমিক এবং বাকি চারজন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মী। তিনি উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডো দলও সেখানে পৌঁছেছে। এছাড়া, ২০২৩ সালে উত্তরাখণ্ডের সিলকিয়ারা টানেল থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে যুক্ত ছয় সদস্যের বিশেষ দলটিও এই অভিযানে যোগ দিয়েছে।

ধসের ঘটনাটি টানেলের মুখ থেকে অন্তত ১৩ কিলোমিটার ভেতরে ঘটেছে। উদ্ধারকারীরা প্রায় শেষ ১০০ মিটারে পৌঁছেছেন, কিন্তু কাদা ও পানির স্তূপ তাদের এগিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করছে।

মন্ত্রী কৃষ্ণা রাও জানান, টানেলের ভেতরে কাদা এতটাই জমেছে যে হাঁটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা রাবারের টিউব ও কাঠের তক্তা ব্যবহার করে এগোচ্ছেন। শ্রমিকদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে আমরা এখনো আশা ছাড়ছি না এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, টানেলের দেওয়ালে ফাটল দেখা গেছে, যেখান দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ জন্য দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া, ধসে পড়া অংশের ছাদ এখনো অস্থিতিশীল, যা ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

তেলেঙ্গানার ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডির সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্ধারকাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *