তারকাখ্যাতি আর সম্পদ যেন একই গতিতে লাফিয়ে লাফিয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে। বিশ্ব ফুটবলে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা খেলোয়াড়দের লাইফস্টাইলের দিকে নজর দিলে এর সত্যতা মিলে। তাদের অর্থ, যশখ্যাতি, প্রভাব-প্রতিপত্তির যেন অন্ত নেই। তা কত টাকা আয় করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো-লিওনেল মেসি-নেইমাররা? তাদের একেকজনের মোট সম্পদই বা কত?
সমর্থকদের নিশ্চয়ই তা জানতে ইচ্ছে করছে। তা হলে আর দেরি কেন? চটজলদি চোখ বুলিয়ে নিন এ তালিকায় আর জেনে নিন প্রিয় তারকার সম্পদের পরিমাণ।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো: সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বলে বিবেচিত এই পর্তুগিজ উইঙ্গার। ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ বাদে সব শিরোপাই জিতেছেন তিনি। কিছু দিন আগে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন সিআর সেভেন। শোনা যাচ্ছে, নতুন চুক্তি অনুযায়ী- ক্লাবটি থেকে বছরে ১৯ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড পকেটে ভরবেন এ মহাতারকা। এ ছাড়া বিজ্ঞাপন থেকে আয় তো রয়েছেই। বর্তমানে তার মোট সম্পদমূল্য প্রায় ২০০-২৫০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডের কাছাকাছি।
লিওনেল মেসি: সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আর্জেন্টাইন জাদুকর- এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বিশ্বকাপ শিরোপা বাদে ক্যারিয়ারে সব কিছুই বগলদাবা করেছেন তিনি। একটি মাত্র বিশ্বকাপ ট্রফি জিতলেই পেয়ে যাবেন অমরত্বের স্বাদ।
গত বছরের শেষ ভাগে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন মেসি। চুক্তি মোতাবেক, এখন সপ্তাহে তার পারিশ্রমিক ৫ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড। সেই হিসাবে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকধারী খেলোয়াড় তিনি।
এর পাশাপাশি ওয়ান্ডারম্যানের কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। বেশ কটিতে শেয়ার আছে। বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির বিজ্ঞাপন থেকে আয় তো রয়েছেই। এই ম্যাজিসিয়ানের মোট সম্পদমূল্য প্রায় ২০০-২৩০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।
জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রোজগার করা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম এ সুইডিশ স্ট্রাইকার। গত গ্রীষ্মে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন তিনি। তা অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে তার আয় দেড় লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড।
ফুটবলের বাইরেও ৩৬ বছর বয়সী এ তারকা ফুটবলারের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। ফ্যাশন হাউস এটুজেড ও অ্যান্ড্রুয়েডের মালিক তিনি। বর্তমানে তার সম্পদমূল্য ১১০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।
নেইমার: গত বছর ট্রান্সফার ফির (২২২ মিলিয়ন ইউরো) বিশ্বরেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যান নেইমার। এতে তার বেতন আকাশচুম্বী বেড়ে যায়। প্যারিসে এখন তিনি প্রতি সপ্তাহে পাচ্ছেন ৬ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ডেরও বেশি।
বিশ্বখ্যাত বহুজাতিক কোম্পানি নাইকি, জিলেট ও বিটস ইলেকট্রনিক্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নেইমার। এখান থেকেও উল্লেখযোগ্য হারে আয় করেন তিনি। বর্তমানে ব্রাজিল যুবরাজের মোট সম্পদমূল্য ১০০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। মেসি-রোনাল্ডোর চেয়ে অনেক কম হলেও ভবিষ্যতে তাদের ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে তার।
ওয়েন রুনি: ইংল্যান্ড অধিনায়কের ক্যারিয়ার অন্তিমলগ্নে এসে পৌঁছেছে। তবু বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আয় করা ফুটবলারদের মধ্যে তিনি একজন। গত গ্রীষ্মে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এভারটনে যোগ দিয়েছেন এ স্ট্রাইকার। তা অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে দেড় লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড আয় করেন তিনি।
এক সময় ইংলিশ ফুটবলের গোল্ডেন বয় ছিলেন রুনি। বর্তমানে তার মোট সম্পদমূল্য ১০০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।