শনিবার, ৩ মে ২০২৫

সবশেষ

বিএনপির পক্ষে প্রশাসন, এ অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, বর্তমান প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষ নিয়ে কাজ করছে। এই ধরনের প্রশাসনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল। গুলশানে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে ছিলেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন-

“বর্তমানে মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। বিভিন্ন এলাকায় আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হলেও প্রশাসন নিশ্চুপ। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন বিএনপির পক্ষে কাজ করছে, এমন প্রমাণও আমরা দেখেছি।”

তিনি আরও বলেন, “যদি প্রশাসন এভাবে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করতে থাকে, তাহলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। আমরা নির্বাচন চাই, তবে তার জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ প্রশাসন, নিরপেক্ষ আমলাতন্ত্র এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।” নাহিদ ইসলাম জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কার, বিচার প্রক্রিয়া এবং গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন-

“আমরা তিনটি বিষয় স্পষ্ট করেছি—বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন। মৌলিক সংস্কার ছাড়া দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়, এবং সে নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা এনসিপি পরে বিবেচনা করবে।”

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

নাহিদ বলেন, “আমরা ন্যূনতম নয়, বরং মৌলিক সংস্কারের পক্ষে। রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়া দেশে কোনো অর্থবহ নির্বাচন সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আমরা সংস্কার কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছি।” নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে তিনি বলেন-

“প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আমরা তা সমর্থন করি। তবে এর আগে বিচার প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ এবং জুলাই সনদের বাস্তবায়ন না হলে শুধু সময় নির্ধারণ করে লাভ নেই।”

আওয়ামী লীগ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন-

“আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি—বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে ফিরে আসার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *