দুবাই থেকে ফেরা মাত্র সিলেট বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের পটিয়ার মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা—এর মধ্যে ১০টিতে সাজা হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে দুবাইয়ে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, চুপিসারে দেশে ফিরলে হয়তো কেউ জানতে পারবে না। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি—বিমান থেকে নামতেই ধরা পড়লেন পুলিশের হাতে।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাঁকে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী থেকে পলাতক আসামি
রুহুল আমিনের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই ফিশারিঘাট এলাকায় ছিল তাঁর মাছের আড়ত। ব্যবসা করতে গিয়েই একের পর এক চেক প্রতারণার মামলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
চেক প্রতারণায় সাজা, এরপর পলায়ন দুবাইয়ে
পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর অধিকাংশই চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে। এসব মামলার মধ্যে ১০টিতে আদালত ইতোমধ্যেই তাঁকে সাজা দিয়েছেন। পরোয়ানাভুক্ত থাকার পরও তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। যদিও তাঁর বিদেশভ্রমণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা উপেক্ষা করেই তিনি দুবাইয়ে আশ্রয় নেন।
পাঁচ বছর পর গোপনে দেশে ফেরার সময় সিলেট হয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন রুহুল আমিন। কিন্তু ইমিগ্রেশন পুলিশের চোখ এড়াতে পারেননি তিনি।
বিমানবন্দর থেকেই গ্রেপ্তার
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, “রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক পরোয়ানা ছিল। পটিয়া থানার অনুরোধে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই তাঁকে পটিয়ায় আনা হয় এবং আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”







