সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি; নিহত ৪ জনই বাংলাদেশি

লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে আল-খোমস উপকূলীয় শহরের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত উপকূলীয় শহর আল-খোমস।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানায়, প্রথম নৌকাটিতে ২৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন, তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন ৬৯ জন।

তাদের মধ্যে দুইজন ছিলেন মিসরীয় ও বাকি কয়েক ডজন সুদানি নাগরিক। তবে তাদের পরিণতি সম্পর্কে রেড ক্রিসেন্ট কোনো তথ্য দেয়নি। নৌকাটিতে আটজন শিশু ছিল বলেও জানানো হয়।

লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্টের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কালো প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো লাশগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। অন্য ছবিতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবীরা বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন।

আরও কিছু ছবিতে উদ্ধার হওয়া মানুষদের থার্মাল কম্বল জড়িয়ে মেঝেতে বসে থাকতে দেখা যায়।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, উদ্ধারকাজে কোস্টগার্ড ও আল-খোমস বন্দর নিরাপত্তা সংস্থা অংশ নেয়। শহরের পাবলিক প্রসিকিউশনের নির্দেশনায় উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (১২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে একটি রাবারের নৌকা ডুবে অন্তত ৪২ জন নিখোঁজ হয়েছেন ও তারা সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত অক্টোবরে ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূলে ৬১ জন অভিবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সেপ্টেম্বরে আইওএম জানায়, লিবিয়ার উপকূলে ৭৫ জন সুদানি শরণার্থীবাহী একটি নৌকায় আগুন ধরে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়।

২০১১ সালে ন্যাটোর সমর্থনে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই লিবিয়া যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও অস্থিরতা থেকে পালানো অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ইউরোপমুখী ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *