বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল যুক্তরাজ্য। দেশটির অন্তত নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় এখন এই দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ভর্তি স্থগিত বা সীমিত করেছে। মূল কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহার এবং ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কড়াকড়ি।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদনের সংখ্যা বাড়ায় উচ্চশিক্ষা খাতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তার সাবেক মন্ত্রী ডেম অ্যাঞ্জেলা ইগল সতর্ক করেছেন, ভিসা ব্যবস্থাকে স্থায়ী “চোরাগোপ্তা পথ” হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।

চেস্টার ইউনিভার্সিটি পাকিস্তান থেকে ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত ভর্তি স্থগিত করেছে। উলভারহ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে, এবং ইস্ট লন্ডন ইউনিভার্সিটিও পাকিস্তান থেকে ভর্তি আপাতত বন্ধ রেখেছে। একইভাবে, সান্ডারল্যান্ড, কভেন্ট্রি ও অক্সফোর্ড ব্রুকস বিশ্ববিদ্যালয়ও এই দুই দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি বছরের শুরুতে ভিসা স্পনসর লাইসেন্স সংরক্ষণের জন্য নীতি কঠোর করেছে। নতুন নিয়মে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হতে পারবে। কিন্তু গত বছর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভিসা বাতিলের হার যথাক্রমে ১৮ ও ২২ শতাংশ ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলছে, ভিসা প্রত্যাখ্যান কমানো ও স্পনসর লাইসেন্স সংরক্ষণই এখন তাদের মূল চ্যালেঞ্জ। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, হঠাৎ কঠোর নীতির কারণে প্রকৃত শিক্ষার্থীরাও মারাত্মক সমস্যায় পড়ছেন।

মরিয়ম আব্বাস, লাহোরভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্স অ্যাডভাইজরসের প্রতিষ্ঠাতা, বলেন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলে জাল আবেদন তৈরি হওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি বিদেশি এজেন্টদের কঠোরভাবে যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *