চলতি বছর মালয়েশিয়াজুড়ে পরিচালিত অভিযানে ৯০ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম)।
মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) দাতুক লোকমান এফেন্দি রামলি এক বিবৃতিতে জানান, ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৩ হাজার ৬৭৮টি অভিযানের মাধ্যমে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪৩ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী ৫ হাজার ২৯৪ জনও ছিলেন।
তিনি জানান, অভিযানে সরাসরি আটক হওয়া অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৪৭২ জন। এছাড়া দেশের প্রধান প্রবেশপথ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তান্তরের মাধ্যমে আরও ৪১ হাজার ৩৫৭ জনকে আটক করা হয়।
অভিযানে সবচেয়ে বেশি আটক হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক- ১৫ হাজার ৩৮৫ জন। এরপর বাংলাদেশি ১১ হাজার ১০৫ জন, মিয়ানমারের ৯ হাজার ৭৮৯ জন, ফিলিপাইনের ৪ হাজার ৩৬৫ জন, পাকিস্তানের ২ হাজার ৪৯৭ জন, ভারতের ১ হাজার ৬৩০ জন, থাইল্যান্ডের ১ হাজার ৪৯৩ জন, চীনের ১ হাজার ৩৮ জন, ভিয়েতনামের ৯০৯ জন এবং নেপালের ৭৬৯ জন নাগরিক। বাকিরা বিভিন্ন দেশের।
অন্যদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের চাকরি দেওয়া ও আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে আটক হওয়া মালিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থানীয় নাগরিক- ২ হাজার ১২ জন।
এছাড়া বাংলাদেশি ৩৪ জন ও ইন্দোনেশীয় ২১ জন মালিককেও আটক করা হয়েছে। পাকিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের নাগরিক মালিকরাও এই তালিকায় রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, আটক অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বৈধ কাগজপত্র না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণভাবে অবস্থান এবং কাজের অনুমতির অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এসব অভিযান চালানো হয়।
দাতুক লোকমান এফেন্দি রামলি বলেন, অবৈধ অভিবাসী নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনকারী মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগ কঠোর ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।








