বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। কারণ, এই সরকার গঠনে তারাই ভূমিকা রেখেছেন দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যাশায়। আজ শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নজরুল ইসলাম খান। বৈঠকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য গড়ার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন-
“আমরা মনে করি না যে তেমন কিছু করার দরকার হবে। কারণ, এই সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁদের তো আমরাই বসিয়েছি এই আশায় যে তাঁরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবেন এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবেন। কাজেই এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার যেন জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করে, আমরা সেই বার্তাটাই দিচ্ছি। সরকার নিশ্চয়ই আমাদের কথা শুনবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।” নজরুল ইসলাম খান জানান, গত ১৬ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন-
“উনি বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, অর্থাৎ ডিসেম্বরেও হতে পারে। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরেই হওয়া উচিত। তাই একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ এখন জরুরি।”
ব্রিফিংয়ে ১২–দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন-
“নির্বাচন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা জোর দিয়ে বলছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করা সম্ভব ও যৌক্তিক। দেশবাসীর প্রত্যাশাও তাই। সরকার যেন দ্রুত নির্বাচন নিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও রোডম্যাপ ঘোষণা করে।”
তিনি জানান, বিএনপি অতীতের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সকল শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আলোচনার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।
দুপুর ৩টা থেকে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান অংশ নেন। ১২–দলীয় জোটের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মোস্তফা জামাল হায়দার।