বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

সবশেষ

‘তিনি কী পুরুষ?’; সাইবার বুলিং-এ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ

Brigitte Macron

লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে চলমান ভুয়া প্রচারণার কারণে গভীর মানসিক উদ্বেগে ভুগছেন ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ- এমনটি জানিয়েছেন তার মেয়ে টিফেন ওজিয়ার।

মঙ্গলবার প্যারিসের এক আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমার মা এখন তীব্র উদ্বেগে ভুগছেন, প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।” ৪১ বছর বয়সী টিফেন বলেন- তার মা সম্পর্কে “ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য” ছড়ানোর অভিযোগে ১০ জনকে আদালতে তোলা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সাইবার হয়রানির অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন। তিনি আদালতে বলেন-

“এক সপ্তাহও যায় না যখন মা অনলাইনে হয়রানির শিকার হন না। তার ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনে এমন কেউ নেই যে, এই ভুয়া অভিযোগ নিয়ে কথা তোলে না।”

টিফেন আরও জানান, তার মা এখন এমন অবস্থায় আছেন যেখানে পোশাক বা শারীরিক ভঙ্গিমা- সবকিছু নিয়েই তাকে সতর্ক থাকতে হয়। কারণ, যে কোনো ছবি বিকৃত করে অনলাইনে প্রচার করা হতে পারে। চিকিৎসা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সাইবারবুলিং তার মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।

প্রথম স্বামী আঁদ্রে-লুই ওজিয়েরের সঙ্গে ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর তিন সন্তানের মধ্যে টিফেন সবার ছোট। তিনি জানান, মায়ের এই মানসিক কষ্ট পুরো পরিবারকেই নাড়িয়ে দিয়েছে।

“নাতি-নাতনিরা যখন এসব কথা শোনে, তখন মা ভেঙে পড়েন। তিনি জানেন না কীভাবে এই অপপ্রচার থামাবেন।”

ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে সাইবার হয়রানির অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এক গ্যালারি মালিক, এক শিক্ষক, এক আইটি বিশেষজ্ঞ, এক রিয়েল এস্টেট ম্যানেজার ও এক ব্যবসায়ী।

প্রসিকিউশন জানিয়েছে- অভিযুক্তরা শুধু ব্রিজিতের লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে অপপ্রচারই চালায়নি, তার ও প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর বয়সের পার্থক্য নিয়েও বিকৃত মন্তব্য করেছে।

এদিকে, তিন মাস আগে ব্রিজিত ও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যে ডানপন্থী পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্স-এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।

এই বছর মার্চে ওয়েন্স ইউটিউবে “Is France’s First Lady a Man?” শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি দাবি করেন- এটি “রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি” হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *