বেশ কিছুদিন ধরেই ঢাকা নগরীর বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসন্ত্রাস এবং ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করে চলেছে নিষিদ্ধ সংগঠন এর কিছু সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই চক্র ইতিমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে।
উপ পুলিশ কমিশনার, রমনা বিভাগ এ ধরনের নাশকতা রোধ এবং দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারে কিছু কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় ৩০/১০/২৫ তারিখ বিকাল আনুমানিক ৪:৫০ এ ধানমণ্ডি ২৮ নং রোডের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট এর গলির মুখে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ব্যানারে মিছিলে প্রস্তুতি গ্রহণের সময় ধানমন্ডি থানা পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুইজনকে গ্রেফতার করে।
একজন শওকত ওসমান বাবু, ২২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, বিগত বছরগুলোতে বিরোধী মত দমনে শওকতের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল হাজারীবাগ ও ধানমন্ডির মানুষ। ‘২৪ এর জুলাই আন্দোলনে এই এলাকায় ছাত্রদের উপর সশস্ত্র হামলাকারীদের একজন এই শওকত। সরকার পতনের পর বিদেশে পালিয়ে গেলেও কিছুদিন পূর্বে দেশে ফিরে আসে একাধিক মামলার আসামী এই ব্যক্তি।
এসেই বিভিন্ন নাশকতার ছক আঁকে যার তথ্য প্রমান তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মোবাইলে পাওয়া যায়। হাজারীবাগ বেরিবাধে বাসে অগ্নিসংযোগরত অবস্থায় মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওচিত্রটিও তার মোবাইলে পাওয়া যায়। এছাড়া পাওয়া গেছে ককটেলসহ বিভিন্ন বিস্ফোরক এর তথ্য। নাশকতা এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন এর ব্যানারে মিছিল সংগঠনের উদ্দেশ্যে অর্থ সংগ্রহ এবং বিতরণের তথ্য প্রমাণ ও পাওয়া গিয়েছে তার মোবাইল ফোনে।
অপরজন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিলন খান। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে এই চক্রের আরও দুইজন সক্রিয় সদস্য- তাওহিদুল ইসলাম অপুকে হাজারীবাগ এবং সাব্বির শেখকে কামরাংগিরচর থেকে গ্রেফতার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
এদের প্রত্যেকের অগ্নিসংযোগ এবং জনমনে ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ, ঝটিকা মিছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই চক্রের আরও সদস্যদের ইতিমধ্যে সনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ।








