কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। জেলায় টানা তিন দিন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা ক্রমশ কমেছে—১৩.৫ ডিগ্রি থেকে শুরু করে বুধবার ১২.৩ ডিগ্রিতে নেমেছে। ঘন কুয়াশা ছেয়ে রেখেছে রাস্তাঘাট, সকালবেলায় মানুষ ও যানবাহন কম দেখা যাচ্ছে।
শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের দিনমজুর, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষ। জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে সর্দি, কাশি ও জ্বরের উপসর্গ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা তুলনামূলক বেশি। বেগমগঞ্জের দক্ষিণ বালাডোবা চরের মুনছুর আলী জানান, সন্ধ্যার পর বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা বৃদ্ধি পায়, যা শিশুদের সঙ্গে থাকায় বিপত্তি সৃষ্টি করছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় জানিয়েছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলার ৯টি উপজেলায় কম্বল কেনার জন্য মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ার সঙ্গে শীতের তীব্রতাও আরও বেড়ে যাবে।








