রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পাশাপাশি তারা দেশের কৃতী সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ও কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

১৯৭১ সালের এই দিনে (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসরা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ডকে ধ্বংস করে দেয়। এর দুইদিন পরই ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়।

একাত্তরের এ দিনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্যই ছিল শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, গবেষক, চিকিৎসক ও সংস্কৃতিকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করে সদ্য স্বাধীন হতে যাওয়া বাংলাদেশকে মেধাশূন্য ও পঙ্গু করে দেওয়া। প্রতিবছর এ কারণেই এদিন গভীর শোক, বেদনা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম বেদনাদায়ক দিন এই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি-সংগ্রামের শেষ সময়ে যখন সারাদেশের মানুষ চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই বিশ্বাসঘাতক রাজাকার, আলবদর, আল-শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে। চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার নৃশংস এই নিধনযজ্ঞে সেদিন সারা বিশ্বই হতবিহ্বল হয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *