সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে বড় বাজেট অনুমোদন ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের চলমান অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বাজেট বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত এ আদেশের ফলে ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন বছরের জন্য ১৭ হাজার কোটি ডলার রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ পাচ্ছে অভিযান পরিচালনাকারী দুই সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এবং কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি)।

যুক্তরাষ্ট্রে বাৎসরিক বাজেট কার্যকর হয় ১ অক্টোবর থেকে। বর্তমানে ২০২৫-’২৬ অর্থবছর চলছে। এটি শেষ হয়ে ২০২৬-’২৭ অর্থবছর শুরু হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে আইসিই এবং সিবিপি।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ দুই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল পায় ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে আগামী ২০২৬ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরের প্রতি বছর আইসিই ও সিবিপি বরাদ্দ হিসেবে পাচ্ছে ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারেরও বেশি।

আইসিই ও সিবিপির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৬ সাল থেকে আরো জোরেশোরে শুরু হবে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান। সে জন্য দুই সংস্থায় আরও হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ, গ্রেপ্তার নথিবিহীন অভিবাসীদের জন্য বেশ কয়েকটি বন্দিশালা নির্মাণ, আটক অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হবে এই অর্থ।

কর্মকর্তরা আরও জানান, ২০২৬ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করবেন— প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ট্রাম্প। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ করেন তিনি, তারপর সেদিনই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।

তিনি সেই আদেশে স্বাক্ষরের পর থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হয় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান। মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬ লাখ ২২ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *